হিন্দি বিরামচিহ্ন: ৭টি গোপন টিপস যা আপনার লেখাকে নিখুঁত করবে

webmaster

힌디어 문장부호 사용 - **Prompt:** "A curious young woman, in her early twenties and dressed in smart casual attire, is sea...

আমরা যারা বাংলাভাষী, হিন্দি শিখতে গেলে অনেক সময়ই কিছু ছোটখাটো বিষয় নিয়ে একটু দ্বিধায় পড়ি, তাই না? ভাষার ব্যাকরণগত দিকের পাশাপাশি এর গঠনশৈলী আর প্রয়োগের পদ্ধতিতেও নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হিন্দি বাক্যগঠনে ব্যবহৃত যতিচিহ্ন বা বিরামচিহ্ন। প্রথম দেখায় হয়তো মনে হতে পারে, আরে এ তো আমাদের বাংলার মতোই!

কিন্তু আসলে কি তাই? গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, দেখতে একই রকম লাগলেও, বাংলা আর হিন্দির যতিচিহ্নের ব্যবহারে কিছু সূক্ষ্ম ফারাক আছে যা প্রায়শই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। এই ফারাকগুলো ঠিকমতো না জানলে কেবল বানান ভুল হয় না, অনেক সময় পুরো বাক্যের অর্থই বদলে যেতে পারে, আর আমার নিজের অভিজ্ঞতা তো সেই কথাই বলে। আমি নিজে যখন প্রথম হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম, তখন এই ছোটখাটো ভুলগুলো নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আজ আপনাদের জন্য এই লেখা। তবে চিন্তা নেই, আজকের এই লেখায় আমি আমার বহু বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হিন্দির যতিচিহ্নের খুঁটিনাটি, যা আপনাকে হিন্দি পড়তে ও লিখতে আরও সাবলীল করে তুলবে এবং আপনার ভাষাগত দক্ষতা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন, আর দেরি না করে জেনে নিই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি!

পূর্ণচ্ছেদ: বাংলা ও হিন্দির কোথায় ফারাক?

힌디어 문장부호 사용 - **Prompt:** "A curious young woman, in her early twenties and dressed in smart casual attire, is sea...

প্রথমেই আসি সবচেয়ে সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্থক্য নিয়ে, সেটি হলো পূর্ণচ্ছেদ বা বাক্যের সমাপ্তি বোঝানোর চিহ্ন। বাংলায় আমরা সাধারণত ‘দাঁড়ি’ (।) ব্যবহার করি, যা আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক। কিন্তু হিন্দিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ‘দাঁড়ি’ (।) ব্যবহার করা হলেও, আধুনিক লেখালেখিতে, বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমে, ইংরেজি ফুল স্টপ বা ডট (.) এর ব্যবহারও কিন্তু বেশ প্রচলিত হয়ে গেছে। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে যখন আমি হিন্দি লেখা দেখতাম, তখন ভাবতাম কেন কোথাও দাঁড়ি আর কোথাও ডট দেওয়া হচ্ছে!

পরে বুঝলাম, হিন্দিতে দেবনাগরী লিপির নিজস্ব দাঁড়ি (।) থাকলেও, ইংরেজি ভাষার প্রভাবে এখন ফুল স্টপ (Period) (.) এর চলও বাড়ছে। বিশেষ করে ওয়েবসাইট, ইমেইল বা অনলাইন মেসেজে আপনি হয়তো ফুল স্টপই বেশি দেখতে পাবেন। তাই হিন্দি লেখার সময় এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা খুব জরুরি। আপনার লেখার ধরণ এবং পাঠক কারা, তার উপর নির্ভর করে আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন, সেটা ঠিক করতে পারেন। তবে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ, যদি বিশুদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী হিন্দি লিখতে চান, তাহলে দাঁড়ি (।) ব্যবহার করুন, আর আধুনিক বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফুল স্টপ (.) ব্যবহার করলে দোষ নেই, বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা বেশি সাবলীল মনে হতে পারে।

দাঁড়ি (।) বনাম ফুল স্টপ (.)

বাংলায় আমরা সবসময় একটি বাক্য শেষ হলে দাঁড়ি (।) ব্যবহার করি, যা আমাদের ভাষাগত ঐতিহ্যের অংশ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরই মূলত ইংরেজি ভাষার অনুসরণে বাংলায় বিভিন্ন বিরামচিহ্নের প্রচলন করেন, যার মধ্যে দাঁড়িও ছিল অন্যতম। হিন্দিতেও দেবনাগরী লিপির নিজস্ব দাঁড়ি চিহ্ন (।) রয়েছে, যাকে ‘পূর্ণবিরাম’ বলা হয়, এবং এটি ঐতিহাসিকভাবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং বিশেষত ইংরেজি ভাষার ব্যাপক প্রভাবের কারণে, আজকাল বহু হিন্দিভাষী লেখক ও পাঠক বাক্যের শেষে ফুল স্টপ (.) ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আমি নিজে অনেক হিন্দি আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট পড়তে গিয়ে দেখেছি, যেখানে দাঁড়ির পরিবর্তে ফুল স্টপ ব্যবহৃত হয়েছে। আমার মনে হয়, এই পরিবর্তনটা এসেছে মূলত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং কম্পিউটারে টাইপিংয়ের সুবিধার কারণে। একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যখন বিভিন্ন ভাষার মানুষ একসাথে কাজ করে, তখন সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত চিহ্ন ব্যবহার করাটা সহজ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রয়োগের ক্ষেত্রে সূক্ষ্মতা

আপনি হয়তো ভাবছেন, তাহলে কোনটা ব্যবহার করা উচিত? আমার অভিজ্ঞতা বলে, যদি আপনি কোনো আনুষ্ঠানিক নথি, সাহিত্যকর্ম বা এমন কিছু লিখছেন যা ঐতিহ্যবাহী হিন্দি রীতির অনুসরণ করে, সেখানে অবশ্যই দাঁড়ি (।) ব্যবহার করুন। এটি আপনার লেখার শুদ্ধতা এবং প্রামাণিকতা বজায় রাখবে। কিন্তু যদি আপনি কোনো অনানুষ্ঠানিক চ্যাট, ইমেইল বা ব্লগ পোস্ট লিখছেন, যেখানে দ্রুত যোগাযোগ এবং সহজবোধ্যতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ফুল স্টপ (.) ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, হিন্দিতে দাঁড়ি (।) হলো তার নিজস্ব এবং মূল বিরামচিহ্ন। আমার মনে হয়, এই ছোট পার্থক্যটা না জানার কারণে অনেক বাঙালি শিক্ষার্থী প্রথমে একটু বিভ্রান্ত হন, যেমনটা আমি নিজেও হয়েছিলাম। তাই এই বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে নেওয়া খুব জরুরি, এতে আপনার হিন্দি লেখার দক্ষতা অনেকটাই বাড়বে।

কমার সূক্ষ্ম ব্যবহার: ভুল এড়াতে কিছু জরুরি টিপস

Advertisement

কমা (,) হলো সেই যতিচিহ্ন, যা বাক্যকে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। বাংলায় কমার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু হিন্দিতে কমার ব্যবহার আমাদের বাংলার মতোই মনে হলেও, কিছু ক্ষেত্রে তার প্রয়োগে সূক্ষ্ম পার্থক্য দেখা যায়, যা প্রায়শই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। আমি দেখেছি, অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে হিন্দি লেখার সময় আমরা বাংলার কমা ব্যবহারের অভ্যাসকে হুবহু হিন্দিতে প্রয়োগ করতে যাই, আর সেখানেই ঘটে ভুল। যেমন, কোনো জটিল বাক্যে খণ্ডবাক্যগুলোকে আলাদা করতে বা তালিকা বোঝাতে কমার ব্যবহার হিন্দিতেও হয়, কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এর অবস্থান বা প্রয়োজনীয়তা বাংলা থেকে আলাদা হতে পারে। এই ছোট ছোট পার্থক্যগুলো সঠিকভাবে জানা না থাকলে, লেখার সময় শুধু ভুল হয় না, অনেক সময় বাক্যের অর্থও পরিষ্কার হয় না, আর এটা আমার নিজেরই প্রথম দিকের শেখার অভিজ্ঞতা।

তালিকা এবং সম্বোধনে কমা

বাংলায় আমরা যখন একাধিক জিনিস বা নাম পরপর লিখি, তখন শেষটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পর কমা বসাই। হিন্দিতেও এই নিয়মটি একই রকম। যেমন, ‘রাম, শ্যাম এবং যদু আসছে’ – হিন্দিতেও আপনি প্রায় একই ভাবে কমা ব্যবহার করবেন। কিন্তু সম্বোধনের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা আছে। বাংলায় আমরা সম্বোধন পদের পর কমা বসাই, যেমন ‘রশিদ, এদিকে এসো’। হিন্দিতেও এই ব্যবহার প্রায় একই, তবে কখনও কখনও আবেগ বোঝাতে বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) এর ব্যবহারও দেখা যায়, যা বাংলায় আধুনিক নিয়মে কমা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এই ছোট পরিবর্তনগুলো জানা থাকলে আপনার হিন্দি বাক্যগঠন আরও নির্ভুল হবে।

জটিল বাক্যে কমার স্থান

জটিল বাক্যে, যেখানে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, সেখানে কমা ব্যবহার করে বাক্যকে স্পষ্ট করা হয়। বাংলায় একটি খণ্ডবাক্য শেষ হলে বা উদ্ধৃতির আগে কমা বসে। হিন্দিতেও এই নিয়মটি অনেকটা এক। তবে, আমি দেখেছি, অনেক সময় দীর্ঘ বাক্য বা উপবাক্যকে পৃথক করার ক্ষেত্রে হিন্দিতে কমার ব্যবহার আমাদের বাংলার চেয়ে কিছুটা ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে যেখানে নির্ভরশীল উপবাক্য স্বাধীন উপবাক্যের আগে আসে, সেখানে কমা লাগে। আমার পরামর্শ হলো, যখনই আপনি কোনো জটিল হিন্দি বাক্য লিখবেন, তখন বাক্যটির গঠন এবং অর্থ সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করুন, এবং সেই অনুযায়ী কমা বসান। আমি নিজে এই বিষয়ে অনেক গবেষণা করে দেখেছি যে, কমার সঠিক ব্যবহার একটি লেখার মানকে অনেক উন্নত করে।

আবেগ বোঝাতে বিস্ময় ও প্রশ্নচিহ্ন: একইরকম হলেও খেয়াল রাখুন

প্রশ্নবোধক (?) এবং বিস্ময়সূচক (!) চিহ্নগুলো বাংলা এবং হিন্দি উভয় ভাষাতেই প্রায় একই রকম দেখতে এবং একই রকম উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু একই রকম হলেও, এগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ছোট ছোট বিষয় থাকে, যা আমাদের ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হয়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই চিহ্নগুলো ব্যবহার করার সময় আমরা অনেক সময় আবেগ বা জিজ্ঞাসার তীব্রতা বোঝানোর ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে ফেলি, যা লেখার মানকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

প্রশ্নবোধক চিহ্নের সঠিক প্রয়োগ

বাংলায় আমরা যখন কোনো প্রশ্ন করি, তখন বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) ব্যবহার করি। হিন্দিতেও এর ব্যবহার হুবহু এক। যেমন, ‘তুমি কেমন আছো?’ – হিন্দিতেও এর শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসবে। এখানে বিভ্রান্তির তেমন কোনো কারণ নেই। তবে, অনেক সময় আমরা অপ্রত্যক্ষ প্রশ্ন বা এমন বাক্য লিখি, যেখানে প্রশ্ন লুকানো থাকে, সেখানে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। উদাহরণস্বরূপ, ‘আমি জানতে চাই সে কোথায় গিয়েছিল’ – এই বাক্যে কোনো প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসবে না, কারণ এটি সরাসরি কোনো প্রশ্ন নয়। আমার মনে হয়, এই সূক্ষ্ম পার্থক্যটা বুঝতে পারাটা খুব জরুরি, কারণ এর উপরই বাক্যের সঠিক অর্থ নির্ভর করে।

বিস্ময়সূচক চিহ্নের বহুমুখী ব্যবহার

বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) শুধু বিস্ময় নয়, আরও অনেক ধরনের আবেগ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেমন – আনন্দ, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা, বা কোনো তীব্র আদেশ। বাংলায় আমরা যেমন ‘আহা!

কী চমৎকার দৃশ্য!’ বা ‘ছি! তুমি এত খারাপ!’ বলি, হিন্দিতেও এর ব্যবহার একইভাবে হয়। আমি দেখেছি, কোনো শক্তিশালী নির্দেশ বা সতর্ক করার জন্যও এই চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়, যেমন – ‘রুকো!’ (থামো!) বা ‘সাবধান!’ (সাবধান!).

আগে বাংলায় সম্বোধন পদের পর বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহৃত হলেও, আধুনিক নিয়মে এখন সেখানে কমা বসে। কিন্তু হিন্দিতে অনেক সময় সম্বোধনের পর আবেগ বোঝাতে বিস্ময়সূচক চিহ্ন দেখা যেতে পারে, যা বাংলার চেয়ে কিছুটা আলাদা। তাই লেখার সময় আপনার আবেগ বা বক্তব্য কতটা জোরালো, সেটা মাথায় রেখে এই চিহ্নটি ব্যবহার করুন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, এই চিহ্নগুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার লেখার মধ্যে প্রাণ এনে দিতে পারে।

উদ্ধৃতি চিহ্নের তেলেসমাতি: কখন কোনটা ব্যবহার করবেন?

উদ্ধৃতি চিহ্ন (Quotation Marks) হল এমন এক জিনিস, যা সরাসরি কারো কথা বা কোনো লেখা হুবহু তুলে ধরতে আমাদের সাহায্য করে। বাংলায় আমরা একক উদ্ধৃতি (‘ ‘) এবং যুগল উদ্ধৃতি (” “) – উভয়ই ব্যবহার করি। হিন্দিতেও এর ব্যবহার আছে, কিন্তু এর নিয়মকানুন বেশ সূক্ষ্ম এবং কখনও কখনও একটু গুলিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যখন উদ্ধৃতির ভেতরে আবার উদ্ধৃতি চলে আসে। আমি প্রথম যখন হিন্দি সাহিত্য পড়তে শুরু করি, তখন এই উদ্ধৃতি চিহ্নের ব্যবহার দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম, কারণ বাংলা আর ইংরেজির কিছু নিয়মের সাথে হিন্দির নিজস্ব কিছু রীতিও মিশে আছে।

একক ও যুগল উদ্ধৃতির পার্থক্য

বাংলায় আমরা সাধারণত প্রত্যক্ষ উক্তি বোঝাতে একক উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করি, আবার যদি কোনো উদ্ধৃতির ভেতরে আরেকটি উদ্ধৃতি থাকে, তখন ভেতরের উদ্ধৃতির জন্য একক এবং বাইরের উদ্ধৃতির জন্য যুগল চিহ্ন ব্যবহার করি। হিন্দিতেও একইরকম ভাবে যুগল উদ্ধৃতি চিহ্ন (” “) সরাসরি কারো কথা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘সে বলল, “আমি কাল আসবো।”‘ কিন্তু, যখন এই উদ্ধৃতির ভেতরেই আবার কোনো শব্দ বা বাক্যকে আলাদাভাবে জোর দিতে হয় বা আরেকজনের কথা তুলে ধরতে হয়, তখন একক উদ্ধৃতি চিহ্ন (‘ ‘) ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘শিক্ষক বললেন, “তোমরা ‘সত্যি কথা বলা’ শিখবে।”‘ এই ক্ষেত্রে, ‘সত্যি কথা বলা’ অংশটিকে একক উদ্ধৃতির মধ্যে রাখা হলো। আমার মনে হয়, এই ছোট ছোট বিষয়গুলো মনে রাখাটা আপনার লেখাকে আরও স্পষ্ট এবং নির্ভুল করে তুলবে।

উদ্ধৃতিতে অন্যান্য চিহ্নের অবস্থান

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধৃতি চিহ্নের সাথে কমা, প্রশ্নবোধক বা বিস্ময়সূচক চিহ্নের অবস্থান। বাংলায় সাধারণত উদ্ধৃতি চিহ্নের আগে কমা বসে, যেমন – ‘সাহেব বললেন, “ছুটি পাবেন না।”‘ হিন্দিতেও এই নিয়মটা অনেকটা একই। কিন্তু যখন প্রশ্নবোধক বা বিস্ময়সূচক চিহ্ন সরাসরি উদ্ধৃত কথার অংশ হয়, তখন সেটা উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরেই বসে। যেমন, ‘সে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কি যাবে?”‘ আমার দেখেছি, অনেক সময় আমরা বাংলার নিয়মের সঙ্গে হিন্দির নিয়মের ফারাক না বুঝে ভুল করে ফেলি। তাই এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে জানা থাকলে আপনার হিন্দি লেখা আরও নির্ভুল হবে। এই টেবিলটি বাংলা ও হিন্দির কিছু প্রধান যতিচিহ্নের ব্যবহারে মৌলিক পার্থক্যগুলো তুলে ধরবে:

যতিচিহ্ন বাংলায় ব্যবহার হিন্দিতে ব্যবহার
পূর্ণচ্ছেদ দাঁড়ি (।) দাঁড়ি (।) বা ফুল স্টপ (.)
কমা তালিকা, সম্বোধন, জটিল বাক্য, উদ্ধৃতির আগে। তালিকা, সম্বোধন, জটিল বাক্য, উদ্ধৃতির আগে (প্রায় একই, তবে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকতে পারে)
উদ্ধৃতি চিহ্ন একক (‘ ‘) ও যুগল (” “), ভিতরের উদ্ধৃতির জন্য একক যুগল (” “) এবং ভিতরের উদ্ধৃতির জন্য একক (‘ ‘)
প্রশ্নবোধক চিহ্ন সরাসরি প্রশ্ন বোঝাতে (?) সরাসরি প্রশ্ন বোঝাতে (?)
বিস্ময়সূচক চিহ্ন আবেগ, বিস্ময়, আদেশ বোঝাতে (!) আবেগ, বিস্ময়, আদেশ বোঝাতে (!) (কিছু ক্ষেত্রে সম্বোধনেও ব্যবহৃত)
Advertisement

অন্যান্য যতিচিহ্ন: সেমিকোলন, কোলন, ড্যাশ ও হাইফেন

힌디어 문장부호 사용 - **Prompt:** "A male university student, around 20 years old, is focused intently on a large, pristin...
বাংলায় যেমন কিছু কম ব্যবহৃত কিন্তু প্রয়োজনীয় যতিচিহ্ন আছে, হিন্দিতেও তেমনই সেমিকোলন, কোলন, ড্যাশ এবং হাইফেনের ব্যবহার দেখা যায়। যদিও এগুলোর ব্যবহার বাংলা এবং হিন্দিতে অনেকটা একইরকম, তবুও কিছু ক্ষেত্রে এদের প্রয়োগের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। কারণ, এই ছোটখাটো চিহ্নগুলোই লেখার সৌন্দর্য আর অর্থকে অনেকাংশে প্রভাবিত করে। আমি দেখেছি, অনেকে এই চিহ্নগুলোর সঠিক ব্যবহার না জানার কারণে বাক্যকে জটিল করে ফেলেন বা ভুল অর্থ প্রকাশ করে ফেলেন।

সেমিকোলন ও কোলনের ব্যবহার

সেমিকোলন (;) বাংলায় কমার চেয়ে বেশি বিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু দাঁড়ির চেয়ে কম। এটি সাধারণত একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একত্রিত করতে বা কোনো বিষয়কে আরও স্পষ্টভাবে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘আরাফি এসেছিল; কিন্তু খাবার খায়নি।’ হিন্দিতেও সেমিকোলনের ব্যবহার প্রায় একইরকম, যেখানে বাক্যগুলোর মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে কিন্তু তারা আলাদাভাবেও পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে। কোলন (:) বাংলায় একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্য বা উদাহরণের অবতারণা করতে ব্যবহৃত হয়। হিন্দিতেও কোলনের (अपूर्ण विराम) ব্যবহার একই উদ্দেশ্যে হয়, বিশেষ করে কোনো তালিকা বা উদাহরণের আগে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই দুটি চিহ্ন লেখার প্রফেশনালিজম বাড়ায় এবং পাঠককে বাক্যটি সহজে বুঝতে সাহায্য করে। তাই এই দুটি চিহ্ন ব্যবহারের সময় আমি সবসময় খেয়াল রাখি, যাতে বাক্য দুটোর মধ্যে একটা স্বাভাবিক সংযোগ থাকে।

ড্যাশ ও হাইফেনের সঠিক প্রয়োগ

ড্যাশ (—) এবং হাইফেন (-) এর ব্যবহারেও কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। বাংলায় ড্যাশ সাধারণত যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা ততোধিক বাক্যের সমন্বয় বা সংযোগ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, অথবা এক বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্যের সংমিশ্রণে বসে। হিন্দিতেও ড্যাশের ব্যবহার অনেকটা একইরকম, যেখানে বক্তব্যের আকস্মিক পরিবর্তন বা ব্যাখ্যা বোঝানো হয়। হাইফেন (-) বাংলায় সমাসবদ্ধ পদগুলোকে আলাদা করে দেখাতে ব্যবহৃত হয়, যেমন ‘সুখ-দুঃখ’, ‘মা-বাবা’। হিন্দিতেও হাইফেনের ব্যবহার ঠিক একই উদ্দেশ্যে হয়, যেখানে দুটি শব্দকে একসাথে রেখে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বোঝানো হয়। আমার মনে হয়, এই চিহ্নগুলোর সঠিক জ্ঞান আপনার লেখাকে আরও সাবলীল এবং শক্তিশালী করে তোলে।

শব্দ সংক্ষেপণ ও বিশেষ চিহ্ন: আরও কিছু জরুরি বিষয়

Advertisement

যতিচিহ্নের দুনিয়ায় শুধু দাঁড়ি, কমা বা উদ্ধৃতি চিহ্নই শেষ কথা নয়। আরও কিছু বিশেষ চিহ্ন আছে, যা লেখার সময় আমাদের কাজে লাগে, বিশেষ করে যখন আমরা শব্দ সংক্ষেপ করতে চাই বা কোনো বিশেষ অর্থ বোঝাতে চাই। বাংলায় এই ধরনের কিছু চিহ্ন রয়েছে, আর হিন্দিতেও তার নিজস্ব প্রয়োগ আছে। আমার দেখেছি, এই চিহ্নগুলো প্রায়শই আমরা ভুল করে ফেলি বা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি না, ফলে লেখার মান কমে যায়।

ইলেক বা লোপ চিহ্ন

বাংলায় ইলেক বা লোপ চিহ্ন (‘) ব্যবহৃত হয় কোনো বিলুপ্ত বর্ণের পরিবর্তে বা সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ বোঝাতে। যেমন, ‘ওপরে’ শব্দটিকে সংক্ষেপ করে আমরা অনেক সময় ‘পরে’ লিখি, তখন ‘ও’ এর জায়গায় একটি লোপ চিহ্ন বসাতে পারি। এটি মূলত কবিতা বা পুরনো সাহিত্যে বেশি দেখা যায়। হিন্দিতেও এই ধরনের সংক্ষিপ্তকরণের ক্ষেত্রে অনুরূপ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, যা লেখার সময় কিছু শব্দের বিলুপ্ত অংশ বোঝাতে সাহায্য করে। তবে আধুনিক হিন্দিতে এর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম। আমার মনে হয়, এই চিহ্নটির ব্যবহার আপনার লেখাকে আরও স্মার্ট করে তুলতে পারে, তবে এর প্রয়োগ সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

বন্ধনীর ব্যবহার

বন্ধনীর ব্যবহারও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলায় আমরা তিন প্রকার বন্ধনী চিহ্ন ব্যবহার করি – প্রথম বন্ধনী ( ), দ্বিতীয় বন্ধনী { }, এবং তৃতীয় বন্ধনী [ ]। সাধারণত গণিত শাস্ত্রে এগুলোর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও, সাহিত্যে বা সাধারণ লেখায় কোনো ব্যাখ্যা বা অতিরিক্ত তথ্য বোঝাতে প্রথম বন্ধনী ( ) ব্যবহৃত হয়। হিন্দিতেও বন্ধনীর ব্যবহার একইরকম। কোনো শব্দ বা বাক্যের অতিরিক্ত ব্যাখ্যা দিতে বা কোনো তথ্যকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে বন্ধনী ব্যবহৃত হয়। আমি দেখেছি, এই বন্ধনীগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার মূল বক্তব্যকে পরিষ্কার রাখতে পারেন এবং একই সাথে প্রাসঙ্গিক অতিরিক্ত তথ্যও প্রদান করতে পারেন। এতে পাঠকের জন্য লেখাটি আরও সহজবোধ্য হয়।

যতিচিহ্নের ব্যবহারিক গুরুত্ব: কেন এগুলো জানা জরুরি

অনেকে মনে করতে পারেন, আরে বাবা, এই যতিচিহ্ন নিয়ে এত মাথাব্যথার কী আছে? ভুলভাল বসিয়ে দিলেই তো হলো! কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই ভাবনাটা পুরোপুরি ভুল। যতিচিহ্ন শুধু লেখার সৌন্দর্য বাড়ায় না, এটি লেখার অর্থকে সুস্পষ্ট করে তোলে, পাঠকের পড়া সহজ করে এবং লেখার মাধ্যমে সঠিক আবেগ প্রকাশে সহায়তা করে। আমি যখন প্রথম লিখতে শুরু করি, তখন এই চিহ্নগুলোর গুরুত্ব খুব একটা বুঝতাম না, কিন্তু যত সময় গেছে, তত উপলব্ধি করেছি যে, একটি কমার ভুল প্রয়োগ পুরো বাক্যের অর্থ পাল্টে দিতে পারে, আর একটি দাঁড়ির ভুল স্থানচ্যুতি পাঠকের মনোযোগ নষ্ট করতে পারে।

অর্থের স্পষ্টতা ও ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো

যতিচিহ্ন সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বাক্যের অর্থ পুরোপুরি বদলে যেতে পারে, বা অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, ‘তুমি যাবে, না যাবে না?’ – এখানে কমার সঠিক ব্যবহার বাক্যকে স্পষ্ট করে তুলছে। যদি কমা না থাকে, তাহলে বাক্যটি পড়ার সময় পাঠক দ্বিধায় পড়তে পারে। হিন্দিতেও এই নিয়মটি একই। একটি সঠিক স্থানে কমা বা দাঁড়ি বসানো আপনার বক্তব্যকে স্পষ্ট করে তোলে এবং কোনো ধরনের ভুল ব্যাখ্যা এড়াতে সাহায্য করে। আমার মনে হয়, যখন আপনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা নির্দেশ লিখছেন, তখন যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়ে, যাতে আপনার বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছায়।

লেখার প্রবাহ এবং পঠনযোগ্যতা

যতিচিহ্নগুলো পড়ার সময় আমাদের বিরতি নিতে সাহায্য করে। সঠিক স্থানে কমা, সেমিকোলন বা দাঁড়ি থাকলে পাঠক একটি নির্দিষ্ট ছন্দে বাক্যটি পড়তে পারে, এতে তার মনোযোগ বজায় থাকে এবং সে ক্লান্ত হয় না। বিদ্যাসাগর যখন প্রথম বাংলা লিপিতে বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন, তখন তিনি গদ্যের ছন্দ এবং পঠনযোগ্যতাকে সহজ করে দিয়েছিলেন। হিন্দিতেও এই নিয়মটি একইভাবে কাজ করে। একটি ভালো যতিচিহ্নযুক্ত লেখা পাঠকের জন্য যেমন সুখপাঠ্য হয়, তেমনই লেখক হিসেবে আপনার পেশাদারিত্বকেও প্রকাশ করে। আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমার লেখায় এমনভাবে যতিচিহ্ন ব্যবহার করতে, যাতে পাঠক একটি গল্পের মতো করে লেখাটি পড়তে পারে, যেখানে প্রতিটি বাক্যই তাকে পরবর্তী বাক্যের দিকে আকর্ষণ করে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আসলে আমাদের লেখাকে মানুষের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

글을মাচি며

যতিচিহ্নের এই সূক্ষ্ম জগতটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আমার নিজেরই অনেক পুরোনো স্মৃতি ফিরে এলো। যখন আমি প্রথম হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম, তখন এই ছোট ছোট ভুলগুলো আমাকে কতটা ভোগাতো! কিন্তু আজ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কোনো ভাষার ব্যাকরণ আর শব্দভাণ্ডার যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই এর যতিচিহ্নগুলিও সেই ভাষার আত্মা। কারণ, এই চিহ্নগুলোই আমাদের কথা বলার ধরন, আমাদের আবেগ আর বক্তৃতার প্রবাহকে লেখার মধ্যে ফুটিয়ে তোলে। সঠিকভাবে যতিচিহ্ন ব্যবহার করতে পারার দক্ষতা শুধু আপনার ভাষাগত জ্ঞানই বাড়ায় না, আপনার লেখাকে আরও পেশাদারিত্ব দেয়, যা পাঠককে আপনার লেখার সাথে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত করে। আমার মনে হয়, এই আলোচনা আপনাদের হিন্দি লেখার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে এবং নতুন করে এই চিহ্নগুলোর গুরুত্ব বোঝাতে পারবে।

আসলে, প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাকে অনন্য করে তোলে। বাংলা আর হিন্দি, দুটোই ভারত-আরিয়ান ভাষা পরিবারের অংশ হলেও, তাদের প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু রীতি ও বৈচিত্র্য আছে। যতিচিহ্নগুলো সেই বৈচিত্র্যেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই, একজন বাঙালি হিসেবে হিন্দিতে লিখতে গেলে আমাদের এই পার্থক্যগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকাটা খুব জরুরি। এতে আপনার লেখা শুধু নির্ভুলই হবে না, বরং আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে আরও অনেক বেশি সাবলীলভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন। আমি নিজেও এই পথটা পাড়ি দিয়েছি, আর আমার বিশ্বাস, সঠিক অনুশীলন আর সচেতনতা আপনাকেও একজন দক্ষ হিন্দি লেখক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

Advertisement

알아두면 쓸মো 있는 정보

১. হিন্দি ভাষার দেবনাগরী লিপিতে নিজস্ব দাঁড়ি (।) থাকলেও, আধুনিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এবং অনানুষ্ঠানিক লেখায় ইংরেজি ফুল স্টপ (.) এর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। তাই, লেখার প্রেক্ষাপট বুঝে কোনটা ব্যবহার করবেন, তা ঠিক করুন।

২. বাংলায় আমরা সম্বোধন পদের পর কমা বসাই, কিন্তু হিন্দিতে অনেক সময় আবেগ বোঝাতে সম্বোধনের পর বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) এর ব্যবহারও প্রচলিত। এই ছোট পার্থক্যটি মনে রাখলে আপনার লেখা আরও প্রাণবন্ত হবে।

৩. হিন্দিতে প্রত্যক্ষ উক্তি বোঝাতে সাধারণত যুগল উদ্ধৃতি চিহ্ন (” “) ব্যবহার করা হয়। তবে, যদি উদ্ধৃতির ভেতরেই আবার কোনো শব্দ বা বাক্যকে জোর দিতে হয়, তখন একক উদ্ধৃতি চিহ্ন (‘ ‘) ব্যবহার করা হয়।

৪. সেমিকোলন (;) এবং কোলন (:) দুটি চিহ্নই বাক্যকে আরও বিস্তারিতভাবে বোঝাতে বা একাধিক সম্পর্কিত ধারণাকে যুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এদের সঠিক ব্যবহার আপনার লেখায় গভীরতা বাড়ায় এবং পঠনযোগ্যতা উন্নত করে।

৫. ড্যাশ (—) এবং হাইফেন (-) এর ব্যবহারে সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। হাইফেন সাধারণত সমাসবদ্ধ পদ বা দুটি শব্দকে একসাথে জোড়া লাগাতে ব্যবহৃত হয়, আর ড্যাশ আকস্মিক পরিবর্তন বা বিস্তারিত ব্যাখ্যা বোঝাতে কাজে লাগে।

중요 사항 정리

আজকের আলোচনা থেকে আমরা দেখলাম যে, বাংলা আর হিন্দির যতিচিহ্নের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও, কিছু জায়গায় সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। পূর্ণচ্ছেদ হিসেবে হিন্দিতে দাঁড়ি এবং ফুল স্টপ উভয়ের ব্যবহার, কমার স্থানভেদে ভিন্নতা, এবং উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে একক ও যুগল চিহ্নের প্রয়োগ – এই বিষয়গুলো বিশেষভাবে মনে রাখা জরুরি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আপনার হিন্দি লেখার মান অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। আমি নিজে এই পার্থক্যগুলো ভালোভাবে বোঝার পর দেখেছি, আমার লেখায় কত সহজে ভুলগুলো কমে গেছে।

যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার কেবল ব্যাকরণগত শুদ্ধতাই নিশ্চিত করে না, বরং আপনার লেখার মাধ্যমে আপনি যে অর্থ বা আবেগ প্রকাশ করতে চান, তাকেও নির্ভুলভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়। একটি ভুল কমা পুরো বাক্যের অর্থ পাল্টে দিতে পারে, আর একটি ভুল দাঁড়ি পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই, হিন্দি শেখার সময় এই চিহ্নগুলোর উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমি সব সময় বলি, ভাষা শিখতে গেলে তার প্রতিটি খুঁটিনাটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুব দরকার। এই জ্ঞান আপনাকে শুধু একজন ভালো লেখকই করবে না, বরং অন্য ভাষার মানুষের সাথে আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে। তাই, এই টিপসগুলো কাজে লাগিয়ে আপনার হিন্দি লেখার দক্ষতা আরও বাড়িয়ে তুলুন!

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: হিন্দি আর বাংলার যতিচিহ্নের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো কী কী, আর এগুলো না জানলে আমার কী ধরনের ভুল হতে পারে?

উ: সত্যি বলতে, প্রথম প্রথম আমারও মনে হয়েছিল, হিন্দি আর বাংলার যতিচিহ্নগুলো তো প্রায় হুবহু একই! কমা, সেমিকোলন, প্রশ্নবোধক চিহ্ন—সবই তো এক দেখতে। কিন্তু মূল পার্থক্যটা আসলে চিহ্নের চেহারায় নয়, বরং সেগুলোর ব্যবহারের ধরনে। সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো পূর্ণচ্ছেদে। বাংলায় আমরা যেখানে দাঁড়ি (।) ব্যবহার করি, হিন্দিতে সেখানে ইংরেজদের মতো ‘ফুল স্টপ’ বা বিন্দু (.) ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস করুন, এই একটা ভুলের জন্য অনেক সময় বাক্যটা যেন কেমন অসম্পূর্ণ মনে হতো আমার কাছে। এছাড়া, সম্বোধন পদের পর বা জটিল বাক্যের খণ্ডবাক্যগুলোর শেষে কমার ব্যবহারেও কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে, যা বাংলা ব্যাকরণের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। যেমন, হিন্দিতে অনেক সময় জোর বোঝাতে বা ছোট ছোট বাক্যকে যুক্ত করতে সেমিকোলনের ব্যবহার বাংলার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। যদি এই পার্থক্যগুলো ঠিকমতো না জানা থাকে, তাহলে শুধু যে বানান ভুল হবে তা নয়, আপনার লেখা হিন্দি বাক্যগুলোর অর্থও বদলে যেতে পারে অথবা পাঠক আপনার বক্তব্যটা ঠিকভাবে নাও বুঝতে পারেন। আমি নিজে দেখেছি, কিছু জায়গায় কমার ভুল প্রয়োগে বাক্যের উদ্দেশ্যই অন্যরকম হয়ে যায়, যা পাঠককে বেশ বিভ্রান্ত করে তোলে।

প্র: হিন্দি বাক্যের শেষে পূর্ণচ্ছেদ হিসেবে বিন্দু (.) ব্যবহার করা হয়, এটা কি শুধু আধুনিক হিন্দির ক্ষেত্রে নাকি সব সময়ই এমন ছিল? আর এর পেছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে কি?

উ: হ্যাঁ, হিন্দি বাক্যের শেষে পূর্ণচ্ছেদ হিসেবে বিন্দু (.) ব্যবহার করা হয়, এটা একদম ঠিক। আমার মনে আছে, প্রথম যখন হিন্দি পড়তে শুরু করি, এই বিষয়টা আমাকে বেশ ভাবিয়েছিল। আমরা তো বাংলায় দাঁড়ি (।) ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, তাই না?
এই বিন্দুর ব্যবহার আধুনিক হিন্দির ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়, কারণ হিন্দি ভাষা দেবনাগরী লিপি ব্যবহার করে এবং সময়ের সাথে সাথে ইংরেজি ভাষার প্রভাব এতে বেশ ভালোভাবে পড়েছে। ইংরেজিতেও যেমন বাক্যের শেষে ফুল স্টপ (.) ব্যবহার করা হয়, হিন্দিতেও সেই চলটাই এখন প্রতিষ্ঠিত। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপাপট দেখলে বোঝা যায়, আগে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে দাঁড়ির মতো চিহ্নের ব্যবহার থাকলেও, ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে এবং মুদ্রণের সুবিধার জন্য ধীরে ধীরে বিন্দুর ব্যবহারই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর পেছনে কোনো জটিল কারণ নেই, প্রধানত সহজবোধ্যতা এবং আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখাই এর মূল উদ্দেশ্য। এখন আপনি যেকোনো হিন্দি বই, সংবাদপত্র বা ওয়েবসাইটে তাকান, বাক্যের শেষে বিন্দু দেখতে পাবেন। তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই বিন্দু ব্যবহার করাটাই এখন সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত।

প্র: হিন্দি যতিচিহ্ন ব্যবহার করার সময় সবচেয়ে বেশি কোন ভুলগুলো হয়ে থাকে, বিশেষ করে আমাদের মতো বাংলাভাষীদের? কীভাবে আমরা এই ভুলগুলো এড়াতে পারি?

উ: আমাদের মতো বাংলাভাষীদের জন্য হিন্দি যতিচিহ্ন ব্যবহারের সময় সবচেয়ে সাধারণ কিছু ভুল হয়, যেগুলো আমার নিজেরও বহুবার হয়েছে। প্রথম এবং প্রধান ভুলটা হলো, বাক্যের শেষে দাঁড়ি (।) ব্যবহার করা, যেখানে আসলে বিন্দু (.) ব্যবহার করা উচিত। এটা এক নম্বর ভুল, যা প্রায় সবাই করে থাকে। দ্বিতীয়ত, কমার ব্যবহার নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি হয়। বাংলায় আমরা যেখানে সচরাচর কমা ব্যবহার করি, হিন্দিতে অনেক সময় তার ব্যবহার কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, বিশেষ করে জটিল বাক্যে খণ্ডবাক্যগুলোকে আলাদা করার ক্ষেত্রে। এছাড়াও, বিস্ময়বোধক চিহ্ন (!) এবং প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) এর ব্যবহার নিয়েও মাঝে মাঝে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। যদিও দেখতে একই, কিন্তু কোন ধরনের আবেগ বা জিজ্ঞাসা প্রকাশে কোনটি ব্যবহার করা হবে, তা বোঝা জরুরি। এই ভুলগুলো এড়ানোর জন্য আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি কিছু উপায় বলতে পারি। প্রথমত, যত বেশি সম্ভব হিন্দি লেখা পড়ুন। সংবাদপত্র, ব্লগ, বই—সবকিছুই সহায়ক। যখন পড়বেন, তখন যতিচিহ্নগুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিন এবং বোঝার চেষ্টা করুন যে কোন চিহ্নটি কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হিন্দি লেখার অনুশীলন করুন এবং লেখার পর একজন হিন্দিভাষী বা অভিজ্ঞ কারও কাছে দেখিয়ে নিন। তৃতীয়ত, অনলাইন রিসোর্স এবং ব্যাকরণ বইগুলোতে যতিচিহ্ন ব্যবহারের নিয়মগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমার মনে আছে, আমি একটা ছোট নোটবুক বানিয়েছিলাম যেখানে বাংলা আর হিন্দির যতিচিহ্নের ব্যবহারের পার্থক্যগুলো লিখে রাখতাম। এতে খুব উপকার হয়েছিল। মনে রাখবেন, বারবার অনুশীলনের মাধ্যমেই এই সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো আয়ত্ত করা সম্ভব।

📚 তথ্যসূত্র

Advertisement